স্বস্তিসুন্দর
“এই তো সেদিন ভাবনগরে দেখা হল। দেখতে দেখতে তৃতীয় বর্ষ। ডিপার্টমেন্ট অফ ইংলিশ। রবীন্দ্র ভারতী ইউনিভার্সিটি। বি.টি রোডের ফুটপাথ ধরে অটোস্ট্যান্ড, আমার ঝোলা উপড়ে ফেলা সংসার। বাকিটা ? দেখা হোক। তারপর না হয়… ওহ! একটা কথা… আমার তুমি যখন অসীম, তোমার আমি নৈঃশব্দ্যে রচিত হই।” – স্বস্তিসুন্দর
না। এখানে কোনও পায়ের ছাপ নেই।
এর আগে অনেকবার এসেছে অচিন।
প্রায় অনেকদিন! এদিকটায় এখন আর আসা হয়না। শূন্য প্লাটফর্মের ওধারে একটা হলদেটে বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে নাম। বাস্তব…
যেদিন মুখ থুবড়ে পড়া সংসারটায় হামাগুড়িটা জাঁকিয়ে বসেছে, সেদিনই এখানে প্রথম আসা। তারপর ধীরে ধীরে অনেকবারই… তা’ও তো অনেকদিনের ব্যাপার।
এখানেই তো আলোর হাতের প্রথম স্পর্শ। একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া…
তারপর এক শুরুয়াৎ…. চারপাশে রঙিন বেলুনের পসরা সাজিয়ে দোকানির আনাগোনা।
কই ? তখন তো মনে হয়নি? অবশ্য ততদিনে এ জায়গার পাততাড়ি গোটানো সারা।
ধীরে ধীরে স্কেলিটন থেকে খসে পড়ছে মাংসগুলো। সংসার বলতে আজ কয়েকটা চিহ্ন। দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন…
তাই আবার ফিরতে হলো। শূন্য প্লাটফর্মটা তেমনই আছে। ঠিক আগের মতো। নামের ঔজ্বল্য এতটুকুও কমেনি। বাস্তব …
একটা ভুঁইফোড় চারাগাছের মাথা দেখা যাচ্ছে। বেশ সবুজ…
সংসার মাটির রংটা তো জানা হলো না। এখানে কী গাছ হয়? সবুজ রঙের?
অনেকদিন বাদে এলেও একটুও অচেনা লাগছে না। সবই তো চেনা পথ। ঐ। ঐ তো। ডান দিকে গেলেই তো আলোর বাড়ি। আলো হয়তো এখন মেঘের সাথে ঝিলপাড়ে। হাতে সিগারেট। দু-এক পাত্তি তাসও থাকতে পারে । তাতে কী?
এখানেই তো শুরুর কথা লেখা ছিল। দোকানির রঙিন বেলুনের পসরায়…
আজ আবার কবিতা হাঁক দিল।
- তুমি তো অনেকদিন আসনা। না না। আজ কিন্ত তোমার কোনও বারণ শুনছি না।
- আসব কী !! বর্ণ বলেছিল আমাকে তোর কাছে নিযে যাবে। আর কী! ওই তো আর এলো না।
- মাঝে মাঝে তুমি তো আলোর হাত ধরেই আসতে…
- আসতাম। কিন্ত আজ আর…
আজ আমার তো যাওয়া হবে না। আবার ঠিকানা সংগ্রহ করতে হবে না? আমার যাওয়ার পথ?
- বেশ , যাও তবে।
এখন প্লাটফর্মটায় অনেক লোকের আনাগোনা। এখন এটা জংশন। যেখানেই যাই ট্রেন বদলানোর জন্য এখানেই আসতে হয়। সেই ট্রেনেও দোকানি। দোকানির হাতে অনেক রঙিন বেলুন…
এখন কতগুলো শব্দের ভারে উঠতে অসুবিধা হয়। নামের পাশে এখন এরাই দখল নিয়েছে।
অনেকটা পথ পেরিয়ে এলাম অবশেষে। টিকিটটা কিন্ত সেই প্লাটফর্ম থেকেই থেকেই কাটা। বাস্তব…
একটু যেন ছুঁয়ে গেল। ভিড়ের মধ্যে চেনা চেনা…
আলো। অনেকদিন পর।
- কেমন আছিস্?
- ভালো। তুই ?
- তোর কী মনে হয়?
- অচিন, ভুলটা আমারই ছিল। আবার যাওয়া যায় না? কিছুটা পথ…
এখানে কোনও মেঘ নেই।
…
পাশে হাত ধরাধরি করে আলো। এক পথিক হেঁটে যাচ্ছে …
*
চিত্রণ: বিবেকরঞ্জন পাইক
মনের অন্দরখানাই রেলবন্দর…!রঙচঙে যাত্রী তোলে, নামায়…….।সবরকম ট্রেনের শ্বাসকেই বুক পেতে নেয়….!!!।
“andhokarer utso hote utsarito alo” ake aporer poripurak..andhokar jodi ‘kalpona’ hay alo tabe ‘bastob’..kintu aker jonnoi aporer sarthokata..
apurbo sundar..
“andhokarer utso hote utsarito alo” ake aporer poripurak..andhokar jodi ‘kalpona’ hay alo tabe ‘bastob’..kintu aker jonnoi aporer sarthokata..
darun swastisundar..