রোহন হালদার

”জোঁকাবুড়ো কে বা কারা? কোথায় থাকে? কি খায়? কি বা চায়? এটা বুঝতে পারছি যে তাদের ভেঙানোটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আর তাদের পছন্দের মেয়ে-টেয়ে থাকলে বিবাহব্যাপারে তেনাদের এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। কিন্তু এমন চমৎকার ক্যারেক্টারের সম্বন্ধে শুধু এটুকুতে কি মন ভরে! রোহন হালদারের এই ফাটাফাটি গল্পটি আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা মেঘা মালহোত্রা, পরমা সেনগুপ্ত ও ‘দি সিগাল ফাউণ্ডেশন ফর দি আর্টসে’র কাছে ঋণী। সিগালের ‘পিস ওয়র্কস্’ নামে গল্পবলার শহরজোড়া আসরটির অন্যতম খুদে পার্টিসিপ্যান্ট রোহন লিখেছে শুধু এই একটিমাত্র গল্প নয়, রীতিমত এক তাড়া – যার বেশিরভাগটাই রূপকথার দুঃখিনী কঙ্কাবতীর নানা নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে। এখানে আমরা গল্পকারের বানান, দাঁড়িকমা অক্ষতাকারে রাখলাম। সঙ্গে রইল খাস খেরোর খাতা থেকে স্বহস্তকৃত গল্পাংশবিশেষ।” – আয়নানগর

 

একটা ছোট গ্রাম ছিল, সেই গ্রামে এক গরীব ব্রাহ্মণের মেয়ে থাকত। ব্রাহ্মণ প্রতিদিন ভিক্ষা করত, যা পেত তা দিয়ে সংসার চালাত। ব্রাহ্মণের মেয়ে কঙ্কাবতীর সতের বছর বয়স কঙ্কাবতী সবসময় ভাবত তাঁর সাথে এক সুন্দর রাজকুমারের বিবাহ হবে। একদিন কঙ্কাবতী পুকুরে স্নান করতে গেল হঠাৎ কে যেন কঙ্কাবতীকে বলল – কঙ্কাবতী তুমি ভারী সুন্দর এবং তোমার মন খুব সুন্দর তুমি আমাকে বিবাহ করিবে কঙ্কাবতী বলিল আমি তোমাকে কোখোনো দেখিনি চিনিনা আমি কেন তোমাকে বিয়ে করব তখন জোকাবুড়ো বলল তোমাকে আমি তেরো দিন সময় দিচ্ছি তারপর তুমি আমাকে এসে বলবে তখন তুমি আমাকে দেখতে পাবে। কঙ্কাবতী তখন বলল আমি এখন তবে যাই আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে এই বলে কঙ্কাবতী চলে এল।

কঙ্কাবতী বাড়ি এসে দেখে ঘরে একটা ব্রাহ্মণ ও তার বাবা। কঙ্কাবতী গিয়ে বলল কী হয়েছে তখন তার বাবা বলল কীছু হয়নি। কঙ্কাবতী কিছু বললনা চুপচাপ ঘরে চলে গেল কিছু দিন পরে তার বাবা তাকে বলল কঙ্কাবতী তোর বিয়ে ঠিক করেছি। একটা ব্রাহ্মণের ছেলের সাথে আর মাত্র ছদিন পড়ে তোর বিয়ে তুই কোথাও বেরুবিনা। কঙ্কাবতী বলল বাবা আমি তো বাড়ির বাইরে না বেরুলে উঠোন ঝাট কে দেবে। কঙ্কাবতীর বাবা বলল সে লোক আছে তোর চিন্তা করতে হবেনা। ছদিন দেখতে দেখতে কেটে গেল বিয়ের দিন রাত্রিরে বর আসার সময় মারা যায় কঙ্কাবতী শুনে কাঁদতে কাঁদতে বলল বাবা আমি তাহলে লঘ্নঘষ্ঠা হব এই বলে কঙ্কাবতী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে চলে গেল

তখন কঙ্কাবতী মাটির রাস্তা ধরে সেই পুকুরের ধার দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ দেখে একটা গাছের কাছে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কাবতী কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল তুমি কে তখন লোকটি বলল আমি জোঁকাবুড়ো কঙ্কাবতী বলল তুমি সেদিন আমাকে বিয়ে করার কথা বলছিলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই তখন জোঁকাবুড়ো বলল ঠিক আছে তখন কঙ্কাবতী জোঁকাবুড়োকে বিয়ে করল সঙ্গে সঙ্গে জোঁকাবুড়ো একটা রাজকুমার হয়ে গেল।তখন রাজকুমার বলল আমি এরকম একটা জোঁকাবুড়োকে ভেঙিয়েছিলাম তাই সেই জোঁকাবুড়ো আমাকে অভিশাপ দিয়েছিল তাই আমিও ওর মতো জোঁকাবুড়ো হয়ে গেলাম তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম আমি এর থেকে কী করে ছাড়া পাব তখন জোঁকাবুড়ো বলল তোকে যদি কোনো লঘ্নঘষ্ঠা হওয়া মেয়ে যদি তোমাকে বিয়ে করে তাহলে তুমি তোমার রূপ ফিরে পাবে তাই আমি তোমার হবু বরকে মেরে ফেলে তোমাকে বিয়ে করেছি আমি তোমাকে একটা পাত্রে জল দিচ্ছি তুমি সেটা গিয়ে বরের মুখে ছিটিয়ে দাও তখন কঙ্কাবতী তাই করল। তারপর রাজকুমার বলল কঙ্কাবতী তুমি এবং তোমার বাবা আমাদের রাজ্যে চলো কঙ্কাবতী ও তার বাবা তাই করল তখন তারা সবাই রাজ্যে গিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে লাগল।

Rohan Halder, as young as 12 years, has been trying his hand at writing Bengali stories. A student of Kailash Vidyamandir in Calcutta, Rohan is incredibly imaginative and positive in this world of harsh realities, surrounded by people who rubbish theories of fairies, magic and miracles while he still believes in them, given his hard circumstances. He has faith and belief as he thrives upon life with great positive energy.
In the grand scheme of things as we all move along life with the heavy burden of negativity and criticism on our shoulders, this young author makes us believe that while to some the glass of water is half empty, to others it is half filled.
We, as volunteers of the PeaceWorks Storytelling project, get an opportunity to spend time with brilliantly gifted children coming from difficult backgrounds. In the one-hour story telling session we have with them every Saturday, they show amazing enthusiasm and eagerness to listen to stories while some like Rohan love to share theirs.  It’s been a great experience spending time with these extremely talented children. – Ayushi Sethia and Saloni Jain (Volunteers, Peace Works, an initiative of `The Seagull Foundation for the Arts)

চিত্রণ – মধুশ্রী

1 thought on “জোঁকাবুড়ো ও কঙ্কাবতী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.