ত্রিদিব সেনগুপ্ত

যতদূর অব্দি ভেবে পাচ্ছি, ত্রিদিব সেনগুপ্ত মুক্তি বিষয়ে লেখেন এবং ভাবনাচিন্তা করে থাকেন। স্ট্রাকচার থেকে মুক্তি, যেকোনরকম পুঁজি থেকে – টাকার, মালের জ্ঞানের; আবার কিছু না জেনে ন্যাকা সেজে বসে থাকবার যে সুখ, তার থেকে মুক্তি, মেঘ ডাকলে বাবা লাঠি নিয়ে আসবে – এই ঘুমঘোর থেকে মুক্তি; যে ভালবাসা সতত মিথ্যাডোরে বাঁধে, তার থেকে মুক্তি। এই গল্পটিও ঘুরেফিরে মুক্তি নিয়ে লেখা বলে মনে হয় – আমেরিকায় একদল বয়স্ক ছাত্রছাত্রীকে বাংলা শেখানোর জন্যে লেখা অর্ডারি মাল – অতএব ইহাতে কোনো যুক্তাক্ষর পাইবেননা।

এক ছিল পাখি, সে বেজায় উড়ে বেড়াত। পাখিরা তো উড়েই বেড়ায়, কিন্তু এ একদম পাখির পাখি, শুধুই উড়ে বেড়ায়, শুধুই উড়ে বেড়ায়। গুরুজন পাখিরা তাকে দেখে কখনো কখনো চটে যায় – এ কী? উড়ছ তো বুঝলাম, একদিন তো বসবে, থিতু হবে, বাসা বানাবে। এ কেমন ধারা অসংসারী আচরণ। সংসারের তো একটা নিয়ম আছে।
পাখি থতমত খায়, কী বলবে বুঝতে পারে না।
কখনো আবার ওই পাখি নিজেই আর সব পাখিদের বলে, চলো না উড়ে আসি। তুমি তো শুধু এই পাহাড়ের এই বনের এই গাছের পাখি হয়েই রয়ে গেলে, কোনো দেশই দেখলে না। ওই পাহাড়ের ওপারেই আছে থতমত খাওয়া মোহনা, সেখানে জল সব সময় থতমত খেয়ে আছে, উজবুকের মত। ঢেউ বলে ওঠেই না তাতে। এই পাহাড়ে যেমন দেখছ, পাহাড়ি ঝোরা, শুধুই লাফায় আর ছোটে আর চেঁচায় আর ফেনা তৈরি করে তার জল, দেখলেই মনে হয়, এই জলে নামলেই দিল বুঝি চটকে মটকে, কাতুকুতু দিয়ে। ঝোরার সেই জল কি চকচকে‌, যেন পারদ ছিটকে যাচ্ছে। মোহনা মোটেই সেরকম নয়, ভোঁদা মুখ আরো ভোঁতা করে বসে থাকে মোহনার ঘোলাটে জল। কোনো ঢেউ নেই, কোনো রং নেই, কোনো ঝকমক নেই। যেন দিন নেই রাত নেই শুধু ঘুমোচ্ছে। দেখতে দেখতে ঘুমই পেয়ে যায় – সবকিছুই থমথমে। মোহনার থেকে রংঢং শিখে, সবকিছুই এখানে থমথমে ধূসর, এমনকি দূরের ডাঙাটাও। কচিত কখনো একটু মুখ তোলে শুশুক, বা একটু লাজুক লাফিয়ে নেয় জলের পুঁচকে মাছ। তারা তো আসলে থাকে মোহনার নিচে, তাদের তো আর মোহনা দেখতে হয়না।
আবার, যদি ওই দিকে পাহাড়ের আড়াআড়ি উড়ে যাও, নদী পেরিয়ে, বন পেরিয়ে, দেখবে, গাঁএর পর গাঁ। তার পর শহর। আবার, এই দেশ পেরিয়ে আর এক দেশ, সেখানে আছে আরো অনেক অনেক উঁচু এক পাহাড়, সেখানে পাহাড়ের মাথা ঢেকে থাকে বরফ, এই পাহাড়ি ঝোরার পারদঝকঝকে জল জমাট হয়ে আছে, সমস্ত ফেনার সমস্ত সকালের সমস্ত রোদের আলো নিজের গায়ে ভরে নিয়ে।
আর সব পাখিদের কাছে ওই পাখি কত মিনতি করে। চলো না, উড়ে আসি, বন পাহাড় গাঁ শহর দেশ সব দেখে বেরিয়ে, ঘুরে আসি, কত তীর্থও তো দেখা হয়। কোনো পাখিই রাজি হয় না। তারা তো এমন পাগল নয়। তাদের কি যাযাবর হলে চলে? তাদের ঘর আছে, সংসার আছে, বাসা বানানোর দায় আছে। কাঠ কুটো খুঁজে পেতে মুখে করে এনে এনে তাদের বাসা বানানোর কাজ আছে। সেখানে ডিম পাড়া আছে। ডিম ফুটে ছানা বেরোয়। চিঁ চিঁ করে ভারি চেঁচায় সেই ছানারা, চেঁচায় খুব, অথচ বেশ লাগে। মনটা কি আরাম হয়ে যায় মাবাবা পাখিদের, সেই চিঁ চিঁ শুনে। চিঁ চিঁ করে দিনরাত তাদের শুধু খিদেই পায়, খিদের কোনো লেখাজোখা নেই। শুধুই পোকা চাই, আরো পোকা, আরো বাদাম, আরো আরো ঘাসের বীজ, ছোট ছোট শামুক। খুঁজে খুঁজে এনে দিতে হয় সেসব। সে কি কম কাজ? তাই, সংসারী পাখিদের সময় কই এমনধারা পাগলামোর।
আবার কখনো যে সেসব কেজো পাখিদেরও মন কেমন করে না, দেশ থেকে দেশে উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ানোর কথায়, তা নয়। তাদেরও মন উতলা হয় বইকি। তাও, থাকতে হয়, কাজ আছে, ঘর আছে, দায় আছে। নিয়ম ভাঙার সাধ হলেই ভয় পায়, সবাই কী বলবে। একটু সময় মুখ গুঁজে বসে থাকে, দুই ডানার পালকের মধ্যে, তারপরে একসময় ফের ফিরে যায় কাজে, যেতে তো হয়ই, কাজ কি কম।
আর ওই উড়ে বেড়ানো পাগলাটে পাখি দিন দিন খুব একা হয়ে পড়ে। সে শুধু উড়েই বেড়ায়, উড়েই বেড়ায়। কার সাথে সে, সব ওড়ার শেষে, দিনের আলো পেরিয়ে সাঁঝ এলে, দুটো মনের কথা বলবে? কার সাথে দেখা হলেই, ও তুমি, কখন এলে, বলে এক গাল হেসে এক ডালে বসে একটু লেজ দোলাবে, একটু গাছের ছাল খুটখুট করে ঠোঁট মেজে নেবে, যেন গাছের গায়ে ঠোঁট ঠোকা ছাড়া পাখিদের কোনো কাজই হয়না?
একা একলা পাখি এক বন থেকে আর এক বনে, এক দেশ থেকে আর এক দেশে কেবল উড়েই বেড়ায়। মাঝে মাঝে ডানা ধরে আসে, যেন হাওয়ার গায়ে আর নড়ছেই না শরীর, শুধুই থেমে যেতে চাইছে, পিঠের পালকগুলো উপর নিচে নাড়াতেও যেন বেরিয়ে গেল শেষ দমটুকু। তাও, থামে না, থামে না পাখি, ডানা সে নেড়েই চলে, নেড়েই চলে। পাখি জানে, উড়তেই থাকলে, উড়তেই থাকলে, একসময় ডানার টাটিয়ে যাওয়া বেদনা সে আর টের পাবে না, কিছুই আর টের পাবে না সে, শুধু উড়েই চলবে। যেন পাখি মানে শুধু ওড়া, আর কোনো অনুভূতি নেই তার। উড়ে চলতে তাকে হয়ই, নইলে একা একাকী কোনো গাছের ডালে বসা মানেই আরো একবার তার খেয়াল পড়বে, তার কথা শোনার বোঝার জানার কেউ নেই, সে যেন কোনো পাখিই নয়, সে মানে শুধু উড়ে চলা, উড়ে চলা, আর কিছুই নেই তার, শুধু ডানার ঝাপটানি। তাই, সেই ডানার ঝাপটানির ভিতরেই সে রয়ে যেতে চায়, শুধু ওড়া, শুধু ডানার গায়ে হাওয়ার শিরশির, শুধু ওড়া, শুধু ওড়া, তার কোনো শেষ নেই, তাই শুরুও নেই।
শেষে একদিন সে হঠাত করে খুঁজে পেল তার সাথী। অনেকটা সময় সে একা একা উড়ছিল, এক সময় তার মনে হল, কে একটা তাকে নজর করছে, যেন তার সাথে সাথেই চলেছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে, একটু বাদে সে ঠাহর করতে পারল। তারপর তার মনে এল, এ তো হঠাত শুধু আজকের কথা নয়, যেখানেই সে উড়ে যায়, যে আকাশেই, যে বনেই, যে দেশেই, এই এক জন সব সময়েই থাকে তার পাশে পাশে। তার নাম মেঘ। অনেকটা উঁচু দিয়ে উড়ে বেড়ায় তো, তাই আগে তার মনে আসেনি – নইলে, সাথী তো তার আছেই।
সেদিন থেকেই মেঘের সাথে পাখির ভারি ভাব। এ ওকে নাদেখে তারা একটা দিনও পারে না। সারা দিন কী হল, কী দেখল, দিনের শেষে সব কিছু এর ওকে বলা চাই। সাঁঝ নেমে এলে, পাখি জিরোতে বসল কোনো এক ডালে। মেঘও তখন একটু নিচে নেমে আসে। সাঁঝের আঁধার যেন আরো ঘনিয়ে আসে। কথা বলতে বলতে যেই থামে পাখি, গুম গুম আওয়াজ করে মেঘ তাকে জানান দেয়, তাগাদা দেয়। তার সাথেই বা আর কে কথা বলে। তারও পরে, এক সময় পাখি ঘুমিয়ে পড়ে। আবার নতুন সকাল, নতুন করে ওড়া। মেঘও ওড়ে, আর একটু উপর দিয়ে, যেন পাহারা দেয়। যেই কোনো শিকারী বাজ আসে ছোঁ দিয়ে, মেঘ অমনি আকাশ ঢেকে কালো করে দিল, পাখিও ঝুপ করে পালিয়ে যায় কোনো ফোলাফোলা গাছের পাতার ছায়ায়, বা, পাহাড়ের কোনো পাথরের আড়ালে। বাজ আর তার খোঁজই পায় না।
এমনি করে দিন যায়, দিন থেকে মাস। এক এক করে বেশ কটা মাস গেল। এর মাঝে তারা দুজন, পাখি আর মেঘ, ঘুরে নিল অনেকগুলো দেশ।
ভারি গরমের দেশে গেল তারা দুজন মিলে। মেঘ দেখেই লাফাতে লাগল দেশের ছেলে বুড়োর দল। বনে বনে জানোয়াররা, পারলে গাছগুলোও গান গেয়ে ওঠে।

ভারি গরমের দেশে গেল তারা দুজন মিলে

দেশে দেশে কত বর্ষা হল সেই মেঘ থেকে। বর্ষার নতুন জলে বনের গাছে গাছে এল নতুন পাতা ফুল, ফুল থেকে ফল। পাখির উত্সাহ আর ধরে না। ফুলের মধু, গাছের ফল, অঢেল সব কিছু ছড়ানো তার চারদিকে। এমনকি, মরে যাওয়া শুকনো গাছের উঁচু মগডালে বাসা করে থাকা পিঁপড়ের ছানা জীবনে কোনোদিন জল দেখেনি, দেখবে কি, ডিম ফুটে বেরিয়েছে সে এই কদিন হল, আর বর্ষা হয়নি কত মাস, শুকনো মরা গাছের কোটরে জমা বর্ষার জল শুঁড় নেড়ে খেতে খেতে তারও আজ কী ফূর্তি।

 
দেশ থেকে দেশে মেঘ চলে, তার সাথে সাথে পাখি। সব জায়গায় যে শুধু আমোদ তা নয় একেবারেই। কোনো দেশে মেঘ এত জল ঢালল, ঘর ভেসে গেল কত জনের, কত নাছাপা হওয়া কবিতা, কত নাভেবে ওঠা কাহিনী, কত ভালোবাসা ঠিক করে বেড়ে ওঠার আগেই ভেসে গেল জলের তোড়ে। তাদের দেখে খুব খারাপ লাগে পাখির। চোখে জল আসে তার। মেঘ বলে, এরকমই হয়, তার নিজেরই কি কিছু করার আছে নাকি? মেঘ জল বয়ে নিয়ে আসে বটে, সেটুকুই তার কাজ, কোথায় কতটা বর্ষা তা তো সে নিজে ঠিক করে না। তবে কে ঠিক করে? পাখি বুঝতে পারে না। মেঘ বলে, সব কিছুরই একটা নিয়ম আছে, নিয়ম মেনে হয়। নিয়মটা কে করল, কেন করল, তা সে কিছুই জানে না, তবু এটুকু জানে যে, নিয়ম একটা আছে। সকালের রোদ মানে তো শুধু আলো না, ঘুম ভাঙার মজা না, ভোরের বাতাসে শিশিরের চিক লাগানো ঘাসের ডগার দোলা নয়, সেই রোদের তাপই জলকে নিয়ে আসে আকাশে, সেখানে তারা জমে জমে মেঘ হয়। মেঘ বলে, দেশ থেকে কত রকমের হাওয়া আছে, এক এক হাওয়ার এক এক আচরণ, এক এক রকম তাদের তাপ, সেই হাওয়ারা উড়িয়ে নিয়ে চলে মেঘ, দেশ থেকে দেশে। তারাই ঠিক করে দেয়, কোথায় কতটা বর্ষা হবে, কার ঘরে হবে উত্সব, কার জল বয়ে যাওয়া বিজন ঘরের হিম রাতে, চাঁদনি রাতে মেঝের কাদায় উবুড় হয়ে থাকা মরে কঠিন শবের উপরে এসে শিস দেবে সাপ, আর তাকে শিকার করতে জানলার শিকে এসে বসবে পেঁচা, তার রাতদেখা চোখে খুঁজে বেড়াবে শুধু সাপ না, মরে যাওয়া আর পালাতে থাকা মানুষ আর জানোয়ারের শরীর।
কত দেখে, জানে, কিছু শেখে, কিছু ভুলে যায় পাখি। দিন যায়, মাস। খেয়াল করেনি, কবে থেকে যেন চিকণ হতে শুরু করেছে মেঘ, পাতলা হালকা, দিনে দিনে। চোখ কুঁচকে তাকে ঠাহর করতে হয়, খুব জোর রোদে তাকে আর দেখাই যায় না মোটে। যেদিন পাখি খেয়াল করল, অবাক তার গলায় দম যেন আটকে এল, বুকের ধুকধুক গেল বেড়ে। কেন, মেঘ কেন? পাখি ভালো করে কথা বলে উঠতে পারল না। মেঘ বলল, এটাই নিয়ম। আকাশে মেঘ থাকার মাসগুলো শেষ হয়ে এল। পাখি বলে, যাঃ, তবু মেঘের কথাগুলো নাশুনেও পারে না। আবার সেই কথা তার মাথাতেই ঢোকে না। শুনেই উঠতে পারে না পাখি। এতদিন সে একা ছিল, একা থাকাটা সব সময়ে সে জানতেও পারেনি, সে যে একা আছে এটা নাবুঝেই সে একা থাকত। আজ তার খুব ভয় এল। চোখের সামনে বর্ষাশেষের ঝকঝকে আশমানি নীল আকাশটাও দেখতে পায় না যেন। বাতাসে পাকসাঁট খেল পাখি, নিচে আরো নিচে, শুশুকের আর ঝিমোতে থাকা কুমীরের মোহনার দিকে ঝুপ করে পড়ে যেতে থাকে পাখি। পড়ে যেতে থাকে, পড়ে যেতে থাকে। সে কিছু শোনে না, দেখে না, ভাবে না। এই নাভাবাটুকুও সে টের পায়না। পড়ে যেতে থাকে।
মাছের আঁশের মত চারকোনা বরফির মত ছোট ছোট ঢেউয়ে সাজানো, যেন মরে যাওয়া ছবি, মোহনার আযোজন জলে পড়ে যেতে থাকা পড়ে যেতে থাকা পাখির শরীরে একসময় তার শরীর ফেরত আসে। আবার ডানা নড়ে, যেমন সব কিছুই নড়ে, এক সময় না এক সময়।
পাখি আবার একা। একা সকাল, একা রাত, একা গাছের ডালের গায়ে ভাঙা ডালের গড়িয়ে পড়া কষের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে শুনে চলা, হাওয়া বয়, পাতায় পাতায় আওয়াজ হয়, ঝিরঝির ঝিরঝির ঝিরঝির। পাখি ঘাড় তোলে, আকাশের দিকে তাকায়, ধূসর ডাঙার দিকে, তাকিয়ে থাকে। কখন চোখ নামিয়ে নিয়েছিল জানেনা। আবার চটকা ভাঙে, আবার আকাশের দিকে তাকায়। গাছের এই উঁচু ডাল থেকে গোটা চারপাশটা গোল হয়ে বেঁকে দূরে চলে গেছে তার থেকে, পাখির কানে আওয়াজ আসে, পাখি শোনেনি, ঝিরঝির ঝিরঝির ঝিরঝির। এইভাবে রাত নেমেছিল, দূর আরো দূর হয়ে যাওয়া ধূসর জল আর আকাশ আর ডাঙা একসময় কালো হয়ে গেছিল। ঝিরঝির করে রাত নেমেছিল। ধূসর কালো থেকে আবার ধূসর, আবার কালো, দিন রাত দিন রাত দিন রাত।
আরো একটা রাতের পর আরো একটা সকাল এসেছিল। ঝিরঝির আওয়াজ পেরিয়ে পাখির কানে এল, এল কি আদৌ, নাকি সে ভেবে নিয়েছিল, পাখি ও পাখি, পাখি, একটা ডাক। আওয়াজটাও কি চেনা তার? তারপর, অনেক পর, কত যুগের হিম পেরিয়ে, আকাশের দিকে তাকিয়েছিল পাখি। পালকের মত এক আঁশলা মেঘ। ওই কি ডাকছে তাকে?
মেঘ পাখিকে অনেক কিছু বলত। অনেক না হলেও, কিছুটা তার শিখেছিল পাখি। সে বুঝতে পারল, মেঘ এসেছে, আবার নতুন বছরের মেঘ।
অনেকটা সময় অনড় চুপচাপ বসে রইল পাখি। কত যুগ কেটে গেল বসে থাকতে থাকতে থাকতে। তারপর, এখন সে কত ভাবতে পারে, ভেবে নিল, হোক না নতুন বছরের নতুন মেঘ, এই তো মেঘ। আবার সে একা নয়, আবার কয়েকটা মাস, সে আর মেঘ, মেঘ আর সে। তারপর? তারপর আবার সেই একই। আবার নতুন ঋতুর নতুন মেঘ। মেঘ আর পাখি।

2 thoughts on “পাখি আর মেঘ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.