সপ্তক দাসগুপ্ত (ভানু)

“আমার সাত বছর বয়েস। বানিয়ে কথা বলতে ভালবাসি, তার জন্য মাঝে মাঝে বকাও খাই। কিন্তু গল্প বললে সবাই ভাল বলে, তাই গল্প বলি” – সপ্তক 

পেট গুপ্তচর
মা, পোলার বেয়ারের গায়ের রং সাদা কেন জানো ?
কেন ?
ওদের গায়ে বরফ লেগে থাকে বলে। ওরা যখন আগুনের কাছে থাকে তখন ওদের রং আবার কালো ভূত হয়ে যায়। তখন ওরা এমনি ভালুকের মত হয়ে যায়।
এটা কে বলল ভানু ?
আমি পড়েছি। বইতে।
তবে যে বল তুমি পড়তে পারোনা ?
পারতাম যখন তোমার পেটের মধ্যে ছিলাম। সেখানে চেয়ার টেবিল আলমারি বইপত্র সব ছিল। তুমি যখন রাত্রে শশা খেতে, শশাটা যখন কামড়ে চাঁদের মত হত, তখন আমি পেটের মধ্যেও চাঁদ দেখতাম। কিন্তু সেই চাঁদের রংটা সাদা ছিলনা। হালকা সবুজ রঙের ছিল। আবার যখন সকালে গোল শশা খেতে, তখন পেটের মধ্যেও গোল সূর্য দেখতাম। সবুজ রঙের।

পেটের মধ্যে আকাশ ছিল ?
হাঁ। পেটের মধ্যে বাড়ির জানলা দিয়ে আকাশ দেখতাম।
আর কি ছিল ?
রাস্তা ছিল, স্কুলও ছিল। স্কুলের মিস এখন আমার উপর খুব রেগে গেছে। আমি আর যাইনা তো ? আমি তোমার পেটের মধ্যে থাকলেই ভালো হত। আরও অনেক কিছু শিখে যেতাম।

.

টাকলু মানুষ
দেশে এক টাকলু মানুষ ছিল I তাকে সবাই টাকলু টাকলু বলে খ্যাপাত I একদিন খুব শীত I সবার মাথায় তো চুল আছে কিন্তু টাকলুর নেই, সে তাই মাথায় চাদর জড়িয়েছে I তাই দেখে সবাই বলল “দ্যাখ দ্যাখ, ও মাথায় চাদর দিয়ে কত আরাম পাচ্ছে, চল আমরাও মাথায় চাদর দিই I” কিন্তু যখন তারা তাদের মাথায় চাদর দিল, গরমে তাদের মাথা আগুনের মত জ্বলতে লাগলো I কিন্তু চাদর না দিলে আবার ঠান্ডা লাগছে একটু একটু I তখন তারা বুঝলো যে টাকলু হলে খারাপ যতটা তার চেয়ে দশ গুন বেশি ভালো হয় I

(অনুলিখন: ভানুর আত্মীয়স্বজন)
(চিত্রণ – )
 

 

1 thought on “ভানুর গল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.