আমি অনির্বাণ/ আদতে নাবিক, সহজ কথা বুনতে/ ভালবাসি কখনো কবিতা হয়/ অথবা গান লিখে যাই আর/ ভেসে বেড়াই
প্রলাপের প্রতি
রাত বিরেতের চাঁদ যদি
গলার কাছে চেপে বসতে চায়,
খুঁজি শব্দ তাকে আশ্বাস দেওয়ার আশায়।
মেঝেতে ছিরকুট্টি একরাশ বিপ্লব।
আয়না কুচি কুচি হয়ে টুকরো তার, আর প্রতিবিম্বে নারাজ।
অপার মহিমায় আদর করে গাই
দুঃসময়ের গান.
আর কুলুঙ্গির প্রদীপে,পড়ে সর্ষের তেলে টান।
বেশ দুঃখ দুঃখ খেলি,বেশ রক্ত রক্ত আকাশ…
গন্ধভরা পচা গলা সকাল.
তাতে দৈনিকের প্রথম পাতায় ঠাসা মৃত্যু
চুঁইয়ে পড়ে চায়ের পেয়ালায়…
চিনি পানসে হলে মেজাজ আসে।
তুমি শক্ত কেন,আরো মরতে পারো না?
আমার পালিয়ে যাওয়া তালে আরো
কারণ ফিরে পাবে।
যদি হাতছানিতে অসুর জেগে ওঠে,
বুক ফেঁড়ে সে, হৃদপিন্ডে গর্ত করে দেবে!
সেও তো বেশ ভালো…
আমার থুতুর মত জীবন –
জোড়া গান স্যালুট তো পাবে!
.
মধ্যপ্রাচ্য
পিছনে তাকিয়ে দেখি –
না পাওয়া,চোখের পাতা ভার করে দাঁড়ায়।
হঠাৎ সামনে চেয়ে একি! হেঁটে এগিয়ে গেছো আবার?
কখনও ধরিনি হাত, তবু শহরের ক্লান্ত
পথ-বাতির তলায়, হাঁটতে হাঁটতে কখন
আঙুলের ফাঁকে আঙুল রয়ে গেছে।
আমাদের প্রেম কেউ খুঁজো না হলদে পাতায়
সারাদিন ধুলোবালি, নোনা-ভিড় মেশা
ছাপোষা সাদাকালো ছবি নিয়ে আমরা বহমান।
প্রতিদিনের দুঃখগুলো চিলেকোঠায় রাখি।
কখনো ভেবেছি আজ জমা কথায় কাঁদব বেশ করে! – দেখি আজও সেই রুমাল ফেলে গেছো।
মেপে মেপে পা ফেলো, আমি বিরক্তি ভার করি,
একদিন হঠাৎ খাদের ধারে রক্ত হিম
শিরার ভিতর ভয় ছুটে চলছে স্বপ্নবেগে,
তখন পিছন থেকে হাত ধরেছো দেখি অবলীলায়,
এই পড়ন্ত রোদের আমি আর আমার পাশে
তুমি।
পৃথিবীর সমস্ত বিষয়,আজ আমার কাছে ইতি টেনে দেয়।
Khub Bhalo. Aaro lekha hok bhaste bhaste. Aamra aakasher canvas theke pore nebo.
ভালোই ।