গার্গী ব্যানার্জি‌

“জন্ম-কম্ম সবই কোলকাতায়। পড়াশুনা- প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে স্নাতকোত্তর। লিঙ্গ-বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। সিনেমা দেখতে ভালো লাগে ছোট থেকেই। হিন্দি সিনেমার পোকা ছিলাম যাকে বলে। কিন্তু অল্টারনেটিভ সিনেমার প্রেমে পড়া উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রথম বার ‘Into The Wild’  দেখে। সেই প্রেম আজও কাটেনি বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।” – গার্গী

Screenshot 2016-05-07 09.19.00

বছরের শুরুর দিকেই ইন্টারনেটে বিগত ২০১৫-র রোম্যান্টিক সিনেমা খুঁজতে গিয়ে ‘দ্য লবস্টার’ (The Lobster) সিনেমাটি সম্পর্কে জানতে পারি। রোম্যান্টিক সিনেমার ক্যাটাগরিতে ফেলা হলেও এই সিনেমা সেইভাবে তথাকথিত ‘বয় মিটস গার্ল, বয় লুজেস গার্ল, বয় গেটস গার্ল’ গোত্রের রোম্যান্টিক নয়। বরং সিনেমাটি এক গভীর অর্থও বহন করে চলে আমাদের বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি রূপে। সেই দিক থেকে সিনেমাটিকে সুর্‌রিয়ালিস্টিক, ডার্ক কমেডিও বলা যেতে পারে। ২০১৫-র কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘পাম দ্য ওর’ নমিনেশন প্রাপ্ত ও জুরি অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই সিনেমার পরিচালক হলেন ইয়োর্গোস লান্থিমোস। ৪২ বছরের এই গ্রীক পরিচালকের ‘দ্য লবস্টার’-ই প্রথম বিগ বাজেট ইংলিশ সিনেমা, এর আগের সবকটিই গ্রীক সিনেমা এবং সবগুলোই বিভিন্ন ফিল্ম সমালোচকদের বাহবা আদায় করে নিয়েছিল। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ‘ডগটুথ’ সিনেমাটি। ২০০৯ সালে নির্মিত এই সিনেমাই তাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করে। ওই বছরের অস্কারে বিদেশী সিনেমার ক্যাটাগরিতে নমিনেশন পায় সিনেমাটি। এই পরিচালক তার প্রায় সব সিনেমাতেই দর্শকদের এক অদ্ভুত জগতে নিয়ে যান। কোন সিনেমায় বাবা-মা তার সন্তানদের বাড়ির বাইরের জগত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অগোচরে রাখে, তাদের শেখানো হয় বিড়াল এই দুনিয়ার ভয়ানকতম প্রাণী, এরোপ্লেন হল একধরনের খেলনা আবার  কোনও সিনেমায় তিনি নিয়ে যান আমাদের এমন এক দুনিয়ায় যেখানে ‘কম্পালসিভ কাপলডোম’-ই শেষ কথা, ‘সিঙ্গল’ হওয়া সেখানে বেআইনি।
এতদিন অবধি তার সব সিনেমাতেই অভিনেতারা বেশীরভাগই ছিলেন গ্রীসের কিন্তু এই পঞ্চম সিনেমা ‘দ্য লবস্টার’ –এর বেশীরভাগই অভিনেতাই গ্রীসের নন। আর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ‘In Bruges’-খ্যাত বাফতা বিজয়ী কলিন ফারেল এবং অস্কার জয়ী অভিনেত্রী রাচেল উইজ। এক মাঝবয়সি, সাদামাটা মানুষ ডেভিডের চরিত্রে কলিন ফারেল সিনেমাটির দুটি অর্ধেই দুধরণের মানুষ হিসেবে দারুণ অভিনয় করেছেন।  আর সিনেমার দ্বিতীয়ার্ধে শর্ট-সাইটেড লোনার-এর চরিত্রটিও র‍্যাচেল উইজ খুব ভালো করে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রতিটি অভিনেতাই তাদের চরিত্রকে যথাযথ ভাবে রূপদান করেছেন।
আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, গ্রীস, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডের যৌথ প্রযোজনায় তৈরী এই সিনেমার গোটা শ্যুটিং ই হয়েছে আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায়।
এবার আসা যাক সিনেমাটির আলোচনায়।

এ এক আজব দেশের গল্প। এই দেশে যখনই কেউ তার জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী হারায় তখনই তার মনুষ্য জীবন নিয়েই ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সেই ব্যক্তির মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে যেন তেন প্রকারেণ জীবন সঙ্গী খুঁজে বের করা। এই একাকী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি হোটেলে যেখানে তার মত আরও অনেক ‘নিঃসঙ্গ’ ব্যক্তিরই স্থান হয়েছে। এইসব ‘একাকী’ ব্যক্তিদের মধ্যে থেকেই ওই ব্যক্তিকে জোটাতে হবে তার সঙ্গীকে এবং এই কাজের জন্য বেঁধে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সময়, ঠিক পঁয়তাল্লিশ দিন। যদি এর মধ্যে সে খুঁজে না পায় তার হবু সঙ্গীকে তবে তার আর ঠাঁই হবে না মানব সমাজে, তাকে পরিণত হতে হবে কোন এক মনুষ্যেতর জীবে, যদিও এক্ষেত্রে ব্যক্তিটিরই পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে সে কোন প্রাণী হবে তা ঠিক করার। আর এই ব্যক্তিদের আরও একটি কাজ আছে, যারা বিদ্রোহী অর্থাৎ ‘লোনার’ (loner) তাদেরকে হত্যা করা। যার যত বেশী হত্যা সংখ্যা তার তত বেশী দিন সংখ্যা।
সিনেমার নায়ক ডেভিডের স্ত্রী মাস ছয়েক আগে মারা গেছে। তাই তাকেও বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে এই হোটেলে সঙ্গিনী খুঁজতে, সাথে আসে তার ভাই যে ইতিমধ্যেই কুকুরে পরিণত হয়েছে। সঙ্গিনী খুঁজে না পেলে সে হতে চায় লবস্টার। কারণ হয়তো কোথাও গিয়ে নিজেরই অজান্তে তার মনে হয় যে লবস্টার এক অতি সাধারণ প্রাণী হলেও সে নিজের ইচ্ছামত বাঁচতে পারে, বেঁচে থাকার বদলে তাকে কোন শর্ত পূরণ করতে হয় না, বা কারোর সর্বক্ষণের নজরবন্দী হয়ে থাকতে হয় না। প্রায় একশ বছর ধরে সে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াতে পারবে, জীবনের ঝুঁকি সেখানেও আছে কিন্তু সেখানে সে স্বাধীন। তাই জন্যই হয়ত সে চায় না কুকুর হতে কারণ কুকুরকেও তো মালিকের কথা শুনেই চলতে হয়।
এই সিনেমাটির হোটেলটি আসলে আমাদের সমাজেরই দর্পণ। যে করেই হোক না কেন প্রতিটি ব্যক্তিকেই রোবটের মত প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেই হবে যদিও সেই সম্পর্কে ‘প্রেম’ বা নিদেন পক্ষে পরস্পরের প্রতি সম্মান, বিশ্বস্ততা আক্ষরিক অর্থেই অনুপস্থিত থাকলেও চলবে। যেখানে বার বার বুঝিয়ে দেওয়া হয় একবিবাহভিত্তিক সম্পর্কই দস্তুর, যেন এই বিশেষ ‘গুণ’টিই মানব সমাজকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। সম্পর্ক যতই তলানিতে গিয়ে ঠেকুক না কেন যেমন করেই হোক সেই সম্পর্কে ব্যক্তি দুজন কে থাকতেই হবে। যদি হোটেল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে যে দম্পতির মধ্যে সমস্যার সূত্রপাত হচ্ছে তবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের একটি করে সন্তান দেওয়া হবে। আমাদের সমাজেও কি তাই হয় না? যখনই কোনও দম্পতির মধ্যে সমস্যার আঁচ পাওয়া যায় তখনই তাদের আদেশনামা পাঠানো হয় সন্তান ধারণের জন্য। হোটেলের মধ্য দিয়ে বার বার আমাদের বর্তমান সমাজের মানসিকতাই তো ফুটে উঠেছে। তাই তো হোটেল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে বলানো হয় ‘homosexuals can be tolerated but bisexuals are not’।  আমাদের সমাজেও তো এদেরকে একভাবে ব্রাত্যই করে রাখা হয়েছে। যে সম্পর্কের কোন তথাকথিত ফলাফল নেই, যে সম্পর্কের থেকে বংশ বিস্তার করা যাবে না তার অস্তিত্বে কি লাভ? তবে সমাজ তাকে মান্যতা দেবেই বা কেন! হোটেলটির মত আমাদের সমাজেও তো অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ে দাম্পত্য এগুলোতে ভালবাসার তুলনায় লাভ ক্ষতির অঙ্কই বেশী থাকে। একপক্ষ পায় নিরাপত্তা, খেয়ে-পরে ‘শান্তি’তে বেঁচে থাকার সুযোগ পরিবর্তে অপর পক্ষ পায় যত্ন, পরিচর্যা পাওয়ার সুযোগ। হোটেলে প্রতিদিন এটাই শেখানো হয়, ঠিক যেমন শেখানো হয় আমাদের সমাজেও রোজকার জীবন চর্চার মধ্য দিয়ে। স্বমৈথুন করাও এখানে নিষিদ্ধ ঠিক আমাদের বর্তমান সমাজেরই মত। ধরা পড়লে জোটে কঠোর শাস্তি (গরম টোস্টারে হাত ঢুকিয়ে দেওয়া), সাথে উপরি পাওনা লোক লজ্জা তো আছেই। অথচ অবিবাহিত একাকী পুরুষদের নিয়মিত ভাবে হোটেলের ওয়েট্রেসদের দিয়ে এক নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি যৌনভাবে উত্তেজিত করানোর চেষ্টা করা হয়। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য! যদিও হোটেলে থাকা অবিবাহিত একাকী মহিলাদের এসবের কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের সমাজে রতি ক্রিয়াতে মেয়েদের সক্রিয় ভূমিকা আর কবেই বা ভাবা হয়েছে? তার সক্রিয় হওয়ার তো কোনও প্রয়োজন নেই!
প্রতি মুহূর্তেই এখানে নিয়মের বেড়াজাল। ‘কাপল’ ও ‘সিঙ্গল’- দের এলাকাও এখানে আলাদা, খেলাধূলাও আলাদা (উন্নত মানের)। স্বাভাবিকই সম্পর্কে প্রবেশ করলে তো ব্যক্তির তো উন্নতিই ঘটে, সে একধাপ এগিয়ে যায়। তাই তো আমাদেরকে শিখিয়ে এসেছে এই সমাজ। চারিদিকে গল্প, কবিতা, সিনেমা সর্বত্রই দেখানো হয়েছে প্রেম না করলেই জীবন বৃথা।
হোটেলের বাসিন্দাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নিয়মিত ভাবে দল বেঁধে জঙ্গলে গিয়ে ‘লোনার’ শিকার। এ ঠিক ওই পশু-পাখি শিকারের মত আর কি। যারা ভালো শিকারি তাদের দরই আলাদা। আর মানুষ তো আজ বড়ই সস্তা। তার জীবনের মূল্যই বা কতটুকু। প্রতিদিনই তো বর্তমান সমাজে হাজার হাজার  লাখে লাখে লোক মরছে পরোক্ষে তারাও কি সমাজের একশ্রেণীর মানুষের শিকার নয়? একজন লোনার = একদিন বৃদ্ধি। যে যত বেশি শিকার করবে তার সঙ্গীহীন অবস্থায় বেঁচে থাকার সুযোগ তত বেশী। এ হল বর্তমানের ফ্রি অফার সর্বস্ব দুনিয়ার ইঁদুর দৌড়ের মানসিকতার নিদর্শন, যা শুধুই শেখায় নিজেরটা ভাবতে, অন্যের সুখ দুঃখ, সুবিধা-অসুবিধা ভাবার প্রয়োজনই নেই সেখানে। এর সাথে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’-এর লোলুপ হাতছানি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে নিজ ব্যক্তিটির বাইরে বেরিয়ে অন্যের কথা ভাবা কখনওই খুব একটা সম্ভব নয়। তাই এই হোটেলের লোকদের মত আমাদের সমাজের মানুষও হয়ে ওঠে আরও আরও বেশী ব্যক্তিকেন্দ্রিক, অনুভূতিহীন। শুধু যখন নিজের উপর কোপটা পড়ে তখনই তার চেতনা ফিরে আসে। সেই কারণেই সঙ্গী খুঁজতে এক ব্যর্থ এক মহিলা আত্মহত্যা করলে কারোর কোন হেলদোল হয় না, ডেভিডেরও হয় না। কিন্তু যখন ডেভিড নিজে সমস্যায় পরে তখন তার ভ্রূক্ষেপ হয়। তখন সে পাড়ি দেয় জঙ্গলে লোনারদের কাছে।
এই লোনার অর্থাৎ যারা বিদ্রোহী তারা থাকে জঙ্গলে লুকিয়ে লুকিয়ে। শহর থেকে, হোটেল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিষ চুরি করে এনে তাদের দিন চলে।এরাও মেনে চলে কঠোর নিয়ম নীতি যেগুলো হোটেলের নিয়মের ঠিক উল্টো। অর্থাৎ এখানে থাকতে গেলে ভুলক্রমেও ভালবাসা শব্দটি উচ্চারণ করা যাবে না। কোন দুজন ব্যক্তি একসাথে বেশী মেলামেশা করতে পারবে না, গান শুনতে পারবে না ইত্যাদি। চুম্বন তো দূর অস্ত। নিয়ম লঙ্ঘন করলে জুটবে কঠোর শাস্তি। কেউ চুম্বনরত অবস্থায় ধরা পড়লে তার ঠোঁট কেটে নেওয়া হয়। এখানে প্রতি মুহূর্তেই মারা যাবার ভয় হোটেলের লোকের হাতে। তাই অন্যের জন্য ভাবার  সময়টুকু এখানেও কারোর নেই। প্রতি ব্যক্তিকেই এই দলে যোগ দেওয়ার পর নিজের কবর খুঁড়ে রাখতে হবে। মারা গেলে তার সহচররা শুধু মৃতদেহটাকে ওই কবরে ফেলে মাটি দিয়ে দেবে।
হোটেলের বাসিন্দারা বা লোনাররা প্রধানত পরিচিত হন তাদের বিশেষ বাহ্যিক/ দৈহিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে। কেউ পরিচিত হন শর্ট-সাইটেড ব্যক্তি হিসেবে কেউ বা পায়ে লিম্প থাকা দিয়ে, কেউ বা নাক থেকে রক্তপাতের বৈশিষ্ট্য দিয়ে। এবং মজার ব্যপার হল তারা তাদের জীবন সঙ্গীও খোঁজেন সেই বিশিষ্টতাকে পুরোভাগে রেখেই। সেই কারণেই হয়ত ডেভিড হোটেলে থাকাকালীন সঙ্গিনী বাছার জন্য নিজেকে আমূল বদলে ফেলে সম্পূর্ণ ভাবলেশহীন, নিষ্ঠুর হয়ে যায়, বা সিনেমার শেষে নিজের অন্ধ প্রেমিকার সাথে সাযুজ্য বজায় রাখতে নিজেকে অন্ধ বানিয়ে ফেলে।
Screenshot 2016-05-07 09.15.06
 
 
 
 
 
 
 
আসলে দুপক্ষই হল একটি মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ মাত্র। দুপক্ষই নিজেদের চিন্তা চেতনাকে আঁকড়ে ধরে আছে, কেউ তার অবস্থান থেকে একচুলও নড়বে না, সেই চিন্তাকে পাল্টাবেও না। আমাদের সমাজের কট্টরপন্থীদের মতই। আর এই মনোভাব বজায় রাখার জন্যই প্রয়োজন হয়ে পড়ে বিভিন্ন নিয়ম নীতির বেড়াজালের। তখনই তারা ঠিক করে দেয় কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল। এইসবই কি দেখা যায় না আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায়। সেখানেও তো সমাজ ঠিক করে দেয় কোনটা করলে আমি সমাজে গ্রহণযোগ্য আর কোনটা করলে নয়।
সিনেমাটিতে পরিচালক দারুণ ভাবে দুটি অর্ধকে ভাগ করেছেন একটি সীন দিয়েই (ডেভিডের হাতে তার সঙ্গিনীর খুন)। যার দ্বারা পুরো একশ আশি ডিগ্রি উল্টে যায় সিনেমার সেট, লোকেশন, লোকজন। যেখানে প্রথম অর্ধ বেশিটাই বদ্ধ জায়গায় হোটেলের মধ্যে ঠিক তার উল্টো দিকে গোটা দ্বিতীয়ার্ধে বেশীটাই শ্যুটিং খোলামেলা বনের ভিতর, সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে, চরিত্রদের পাশ দিয়েই স্বাভাবিক ভাবে বনের মধ্য দিয়ে বনের জন্তুজানোয়ার হেঁটে বেড়ায়।
***
ছবি: অন্তর্জা‌ল
***

2 thoughts on “‘দ্য লবস্টার’: একটি আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.