ছাত্রজীবন, বিশেষ করে স্কুলের সময়টা প্রত্যেকের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বড় হওয়ার পর সেই সময়টা সম্পর্কে আমরা অনেকেই বেশ নস্ট্যালজিয়ায় আক্রান্ত হই। তবে সব জীবন যেমন একরকম নয়, সব ছাত্রজীবনও নয়। সব স্মৃতিও নয় সুখের। সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যে স্কুল স্পেসটির হাজিরা মাঝেমাঝে বড় সরলীকৃত মনে হয়। কিন্তু স্কুল, এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে সমাজে যে কতরকমের জটিলতা দাঁড়িয়ে আছে, তাকে ছোঁবার জন্য ছোটগল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ফর্ম। আপনার গল্পের মাধ্যমে এই ভিন্নতাগুলিই ধরতে চায় আয়নানগর।
(১) স্কুল মানে একটি স্থান, প্রেক্ষাপট। হয়ত বা উঁচু উঁচু দেওয়াল, গম্ভীর একটা বাড়ি। সেই বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে ইতিহাস। গর্বের, স্বপ্ন সফলের ইতিহাস আবার অগৌরবের, স্বপ্নভঙ্গের অথবা রাগদুঃখের কাহিনীও।
(২) স্কুল মানে শুধু একটা বাড়িই নয়। স্কুল মানে একদল শিক্ষকশিক্ষিকা – মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁরাই বুনে দিচ্ছেন বা ভেঙে দিচ্ছেন স্বপ্ন। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বুলেট গল্পের সেই মাস্টারমশাইকে মনে পড়ে, যিনি একটি সর্বতোভাবে বখে যাওয়া বাঁদর ছেলেকে মানুষ করতে না পারার ব্যর্থতার দায় তুলে নেন নিজের কাঁধে… এরকম নানা ঘটনা, নানা চরিত্র – শিক্ষক, ছাত্র, অশিক্ষক কর্মী অথবা গভর্নিং বডি – যা-ই হোক।
(৩) এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন জটিলতা, যেমন আমাদের দুই বাংলায় শ্রেণী-বর্ণ-ধর্ম-প্রান্তিকতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল বা শিক্ষা সংক্রান্ত গল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যেমন মনোরঞ্জন ব্যাপারী বা হরিশংকর জলদাসের লেখায়। স্কুলে পড়তে পারা বা না পারা, স্কুলে শিক্ষকরা কিভাবে পড়াচ্ছেন অথবা পড়াচ্ছেন না, তার উপর গোটা পৃথিবীতেই বৈষম্য বিষয়টি ঐতিহাসিক ভাবে অনেকটা নির্ভর করেছে – বাংলায় তো করেছে বটেই। বাংলা সাহিত্যে, বাঙালি সমাজে স্কুল ও শিক্ষার ভূমিকা ঠিক কী?
এর যেকোনো কিছুকে বা স্কুলকে জড়িয়ে অন্য কিছুকে কেন্দ্রে রেখে লিখে ফেলুন গল্প। শুধু মধুমাখা স্মৃতিমেদুরতা নয়। উঠে আসুক না বলা বাস্তব কথাগুলি, যা হয়তো অস্বস্তির, লজ্জার, মন খারাপের, রাগ এবং হতাশারও।
লেখা পাঠান ১৫-ই জুনের মধ্যে। সঙ্গে জানান, আপনার নাম এবং আপনার সম্পর্কে অল্প দু-চার কথা।
পত্রিকার লিংক: https://aainanagar.com , যোগাযোগ: aainanagar@gmail.com , https://facebook.com/aainanagar