লিটল ম্যাগাজিন ঠেক (সেপ্টেম্বর ২০১১) -এর বিশেষ চতুর্থ সংখ্যায় বিষ ও বিষহরি বিষয়ে ডাউনলোড করে পড়বার জন্য এইখানে ক্লিক করুন।
“ক্লাসের পর টিফিন ভাগ করে খেতাম। সিঁড়িতে, ঝিলের ধারে ঠ্যাং ছড়িয়ে আড্ডা, নাটক-সিনেমা দেখতে যাওয়া এক সঙ্গে। আশপাশে কবিতা, গল্প লেখে অনেকেই। প্রবন্ধ-টবন্ধ, টুকটাক হাত চালাই আমরাও। কে প্রথম তুলেছিল কথাটা আর মনে নেই। পাঁচ মাথা একজোট হয়ে চালাও পানসি লিটল ম্যাগাজিন! আড্ডাখানায় উৎপত্তি, তাই ঠেক।
আমাদের আড্ডাগুলো ছিল বহুমুখী। সাহিত্য থেকে রাজনীতি থেকে নৃতত্ত্বচর্চা থেকে নাটক থেকে চিত্রকলা… পত্রিকাটাও তাই শুধু সাহিত্য-নির্ভর হয়ে থাকেনি। এক একটা সংখ্যা বরং হয়ে উঠেছে সেই আড্ডাগুলোরই এক একটা দলিল। আমাদের সমসাময়িক এবড়ো খেবড়ো রঙ, লালন, প্রতিষেধকরা সে সময় কাজ করছে কবিতা, নিজস্ব গদ্য নিয়ে। আমাদের ঝোঁকটা, খুব ভেবেচিন্তে না হলেও, চলে গেল গবেষণার দিকে।
বয়স বেড়েছে, আমাদের, তাই আড্ডারও। একদিকে যেমন পত্রিকা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টেছে, তেমনই বন্ধুত্বের বাঁকবদলের সঙ্গে সঙ্গে হাত ছেড়ে গেছে অনেকের। চতুর্থ সংখ্যাটি আমাদের সবচেয়ে বড়সড় কাজ, সবচেয়ে কম লোকবলে করা কাজও বটে। আর তার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ছাড়িয়ে আমরা পা রেখেছি চাকরি নামক জাঁতাকলের পাকে। বন্ধ করার কথা সে ভাবে কখনও না ভাবলেও, কাজটা আর হয়ে ওঠেনি। কখনও মনান্তর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কখনও সময়াভাব। একটা সময়ের পর বুঝলাম, এবার আবার শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে হয়তো!
চতুর্থ সংখ্যাটির পর একটা দীর্ঘ দীর্ঘ বিরতি এই সব কারণের মিশেলেই। তবে ঠেককে আমরা ছাড়লে কি হবে, ঠেক আমাদের ছাড়ল না। আজ প্রায় দু’বছর পর যদি সেই শূন্য থেকেই শুরু করা নিয়ে ভাবছি, তার একটাই কারণ। পত্রিকাটা আমাদের আত্মপরিচয়ের অংশ হয়ে গেছে। আর, এটাও যে, ব্যক্তিগত টানাপোড়েনের থেকে কাজটা বড়। পঞ্চম সংখ্যার ভাবনাচিন্তা চলছে। ভারতীয় জাদুবিদ্যা নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের ইচ্ছা আছে। পাঠকদের মতামত/ সাজেশন পেলে ভাল লাগবে। ”
– ঠেক-এর পক্ষ থেকে দ্যুতি মুখার্জি
0 thoughts on “Little Magazine Of The Month – ঠেক”