”আমি…অন্তমিলে বিশ্বাসী। খাবারদাবার, কথাবার্তা এবং বন্ধু পাতানোর ক্ষেত্রে কোয়ালিটির চেয়েও কোয়ানটিটিতেই জোর ভরসা। এপথে আমি শোলে’র বাসন্তীর আদর্শ উত্তরনারী, যে প্যায়ারি নেহি, বহোত সারি বোলতি হ্যায়। আপাতত এই নানাবিধ স্রোতে বেজায় ভাঁটা পড়েছে কারণ বছর দু’য়েকের কন্যারত্নটি সারাক্ষণ আমার পচা মাছের পেটির মত লুজ ইমোশনে ভ্যাদভ্যাদে মন জুড়ে থাকে।” – সারা
১
হুজুগের চোখ অথবা শাস্তি
নস্টালজিয়া শোচনা নাস্তি
ইদানীং যে নিদানে বাঁচি
খেলাপি আপোষ
ভুলতে নেই
যা রচিবে তুমি
সত্য সেই
ধারের ডানায় লাগছে তাপ
গলছে মোমের সব প্রলাপ
খসছে পালক কুৎসিতের
যা রচিবে তুমি
সত্য সেই, সত্য সেই, সত্য সেই।
.
২
কোনো এক নিশ্চিত জন্মে,
যেবার মন ঝাপটানির শব্দে তুমি ইচ্ছেমত হাত বুলোবে,
যেবার ঠোঁট সরানোর যুগ যুগ ব্যথা আমায় নীলতর করে রাখবেনা,
যেবার দিনরাতের রূপকথারা স্বপ্নের সান্ত্বনা অথবা চিমটির ভয়ে ঘুম ভুলবেনা,
যেবার একটা গোল পৃথিবী ঘুরে ঘুরে খালি আমাদের কুশল জানবে, রোজ… রোজ…
.
৩
দূরের দিকে তাকিয়ে থাকি,
নষ্ট চোখের দৃশ্য বাকি,
টেক্কা যখন আস্তিনে তার,
আমার বুকে বসন্তহার।
মাস গুনি আর রক্ত মুছি,
রোদ-বারিষে পলাশকুচি
খুব জমিয়ে আবীর মাখে,
ঘুমের বোতল উল্টে রাখে।
খটখটাব কোন দরজায়?
মাঞ্জাবিহীন ঘুড়ির পাড়ায়?
লটকে আছি, আর হেসোনা,
সোনামুঠির বসন্ত না,
খুব জানে তাই একলা হাতে,
তোমায় খোঁজে হাড়হাভাতে।
.
৪
স্থিতিস্থাপক সর্বনামে ঘুমভাঙ্গানি চায়ে,
লুটেপুটে খাই তোমাকে – যেদিক আঙুল যায়।
ঠোঁট সরানো আনতবৎ আলোকবর্ষে মাপি,
নীলতর রুদ্রাণী আর নির্বিষ তার ঝাঁপি।
নির্বাণ নয়, ফিরে আসার অমোঘ অভিশাপ,
শরীর নামের অর্ঘ্যকমল সাতখুন তার মাপ।
হাতের পাঁচে ভুলচুক থাক অষ্টম দরজায়,
তোমার পাশে যন্ত্রণাদের ডাকনাম বদলায়।
.
৫
ফিকি মেহ্ন্দির খুশবু চেনে
ঝুটমুটকে শিক্ওয়েদের?
এক পাড়ায় বসতি নাকি
স্বঘোষিত গুলজারের…
এলাটিং ও বেলাটিং সই?
রাজামশাই উদার লোক,
যে বালিকা চাইবেন – তার
ছিরি ও ছাঁদ যেমনই হোক!
বালিকা আহা… মশকরা নয়,
দুধে ও ভাতে টেস্টি যা!
শিক্ওয়ে ওয়াদের ভণ্ডামি রাখ,
কন্যে রে, তুই চরে খা।
উপার্জনে মন নাই, কিছু টাকা কর্জ যদি দাও,
চরণে মার্জনা মাগি দর্জা দিয়া হইব উধাও ।
–সরোজ দত্তের কবিতা