বর্ষা সংখ্যা, ২০২১ (গল্প)
অতিমারীর ত্রাণের মধ্য দিয়ে নতুনতর অভিব্যক্তি পায় আমাদের চিরপরিচিত শ্রেণী-অসাম্য, জাতপাত জনিত অসাম্য, লিঙ্গ-অসাম্য। এসব বাস্তবতার কিছু কিছু ছবি এই সংখ্যার আখ্যানগুলিতে এসেছে – কোথাও অতিমারীর প্রেক্ষিতে, কোথাও অন্য কোনো প্রাক্-মহামারী প্রেক্ষিতে।
এসেছে, কারণ মানুষের জটিল বেঁচে থাকার কথা বলে যে শিল্প, যে সাহিত্য, তার একেকটি আঁচড় আসলে নৈঃশব্দ্য ভাঙার প্রচেষ্টা। এবং বিদ্রোহ – মৃত্যুর বিরুদ্ধে জীবনের।
সংঘাত ঐক্য সংঘাত (গল্প)
সংঘাতের নিয়মই বোধহয় মানুষকে ছারখার করে দেওয়া, মানুষের মধ্যে তৈরি হয় শিবির, আবার তৈরি হয় নতুন ঐক্য। সে ঐক্যের মধ্যেও চলে নিরন্তর সংঘাত – মতাদর্শগত, পরিচিতিগত, আরও কত কি। মানুষের বেঁচে থাকার ইতিহাস তো আসলে নিরন্তর খিটিমিটির ইতিহাস। আবার তা মিটিয়ে নিয়ে একসাথে বাঁচা, নতুন পৃথিবীর স্বপ্নের ইতিহাসও। সেই সংঘাত, পাল্টা সংঘাত, ঐক্য, নির্মাণের ভিতরে থাকে গল্প। সেই গল্পগুলিকে আমরা ধরতে চেয়েছি এই গল্পসংখ্যায়।
প্রতিবাদের স্বর : রাষ্ট্র বনাম কবিতা
এই সময়ে, কবি ও কবিতার উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেমে আসার সময়ে, দেশ ও দেশবাসীর উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেমে আসার সময়ে দাঁড়িয়ে কিছু কবিতা, কিছু প্রতিবাদের স্বর।
স্কুলের গল্প
স্কুল বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবার মধ্যেই আছে একধরনের নস্টালজিয়া। পরিবারের বাইরে পা রাখা ও পরিবারের বাইরে একধরনের পরিচিতি গড়ে তোলার প্রথম ক্ষেত্রই স্কুল কিনা! আমাদের আড্ডা, গল্পে তাই গভীর ভাবে জড়িয়ে থাকে স্কুলের স্মৃতি। কিন্তু তাসত্বেও, বাংলা সাহিত্যে স্কুল নিয়ে তেমন ধারাবাহিকভাবে লেখা হলো না। যেমনটি হলো পরিবার বা কর্মক্ষেত্র নিয়ে। অনেকটা সেই অভাব নিয়ে ভাবতে ভাবতেই আমাদের এই ‘স্কুল নিয়ে’ ছোটগল্প সংখ্যা।
ভয়ের কবিতা
আয়নানগর থেকে যৌথভাবে লেখালেখির প্রথম প্রয়াস—‘ভয়ের কবিতা’। নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক লেখা হলেও এক্ষেত্রে বিষয়ের চাইতে একসাথে লেখাটাই ছিলো জোরের জায়গা। একভাবে দেখলে, একটা খেলা। কয়েকজন মানুষের একত্রিত হবার, পরস্পরকে এবং নিজেদেরকে জানবার খেলা। আবার আরেকভাবে দেখলে এটা ছিলো নিজেকে এবং পরস্পরকে নানান স্বভাবের, অভ্যাসের, অনিচ্ছার এবং হতাশার স্নিগ্ধ খোলস থেকে বার করে আনবার, চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবার একটা মৃদু চেষ্টা। তা বলে বিষয় এক্ষেত্রে পুরোপুরি গৌণ নয়। লিখতে লিখতে ক্রমশ আমরা শুধু কবিতা এবং যৌথতার ধারণাগুলিকে নয়, ‘ভয়’—এই বিশেষ অনুভূতিটিকেও নানাভাবে দেখতে শুরু করি। সেই দেখা আর পরস্পরের দেখা নিয়ে ভাবনাচিন্তাও তখন খেলার অংশ হয়ে ওঠে।