নিবাস: মফস্বল; বয়েসের গাছপাথর: নেই; কবিতা লেখার কারণ: বদহজমজনিত বৈরাগ্য; শখ: pun করা
ঈগল
ক্রমাগত উড়ে মরছি, আকাশ খুঁড়ছি চক্রাকারে,
পরমাংসের গহীন লোভে।
হাত পা দিয়ে ঝাপটা মেরে উড়িয়ে দিচ্ছি কুকুরছানা,
শীর্ণ বেড়াল, ম্লেচ্ছ মাছি।
দূরনজরেই হিসেব কষছি মাংসের মাপ, ক্লেদগন্ধের
লালগোলাপি লিপ্সারীতি।
মাংসখন্ডে ঈগললোলুপ দৃষ্টি রেখে চক্রাকারে নামছি
নীচে, মাটির দিকে।
.
হাঁসের গান
ফিরে গেছে দূর থেকে উড়ে আসা বুনো হাঁস
শহরের জলাজমি ছেড়ে।
ফেলে গেছে ঘাসে জলে, খসে পড়া
রঙিন পালকের ওম।
কিশোরীর গোপন খাতার ভাঁজ কুড়িয়ে সাজাবে।
অচেনা বরফদেশ,
উত্তুরে হাওয়া। রেখে যায় পিছুটান, অস্থায়ী বাসা।
.
সবাই
আমরা যারা ইচ্ছেগুলোর
মান রাখিনি
ভান করেছি উদাসীনতার,
ঠুনকো আরাম খুঁজতে গিয়ে
কানকো টিপে চিনতে শিখি
তঞ্চকতা।
সব সুযোগের সদ্ব্যবহার,
সব সুবিধার
হাত ধরেছি নির্ভরতায়।
তাদের জন্য আচমকা আর
দমকা হাওয়ার হাতছানি নেই
নেই নিছনি উদ্দামতার।
আমরা সবাই অসাবধানে
সাবধানতার খাঁড়ায় জবাই –
একলা পড়ে পচছে মাঠে নকশী কাঁথা।
ভালোই লাগল ।