স্কুল বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবার মধ্যেই আছে একধরনের নস্টালজিয়া। পরিবারের বাইরে পা রাখা ও পরিবারের বাইরে একধরনের পরিচিতি গড়ে তোলার প্রথম ক্ষেত্রই স্কুল কিনা! আমাদের আড্ডা, গল্পে তাই গভীর ভাবে জড়িয়ে থাকে স্কুলের স্মৃতি। কিন্তু তাসত্বেও, বাংলা সাহিত্যে স্কুল নিয়ে তেমন ধারাবাহিকভাবে লেখা হলো না। যেমনটি হলো পরিবার বা কর্মক্ষেত্র নিয়ে। অনেকটা সেই অভাব নিয়ে ভাবতে ভাবতেই আমাদের এই ‘স্কুল নিয়ে’ ছোটগল্প সংখ্যা। কিন্তু স্কুল তো আবার শুধুমাত্র নস্টালজিয়ার বিষয়বস্তু নয়। স্কুল মানে শ্রেণীবিভাজন। স্কুল মানে প্রথম আনুগত্যপাঠ। কে ‘ভালো’ স্কুলে পড়ে। কেইবা পড়ে ‘খারাপ’ স্কুলে। স্কুল মানে প্রথম অসাম্যশিক্ষা। তাও আবার মেধার নাম করে। শিক্ষক-অশিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্র সবাই নানা বিভাজনের ওপর দাঁড়িয়ে। স্কুল মানে লিঙ্গায়ন। আবার ভারতবর্ষের বুকে দাঁড়িয়ে, জাতপাত এড়িয়ে স্কুল নিয়ে কোনো কথাই হতে পারে না। তাই, ছ’টি মৌলিক গল্প ও তিনটি অনুবাদ গল্প নিয়ে প্রকাশিত ‘স্কুল নিয়ে’ আয়নানগর গল্পসংখ্যায় বহুক্ষেত্রেই গল্পের গণ্ডী ‘স্কুল’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ পেরিয়ে ঢুকে পড়তে চেয়েছে অন্য কোনো জটিলতর ক্ষেত্রে।

সম্পাদনা : নীতা, সুস্মিতা, নন্দিনী, মধুশ্রী

সূচিপত্র

 বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতেনীতা মণ্ডল

একটি বৃত্তের গল্পঅমৃতা চক্রবর্তী

ইশ কি কুল!স্মৃতি ভট্টাচার্য মিত্র

ব্রাউনির দলসুস্মিতা সরকার

জয়ীলীনা ভট্টাচার্য

ইস্কুল টিস্কুলঅনির্বাণ ঘোষ

সিলিয়ানন্দিনী ধর

স্কুলবেলচন্দন  কুমার চৌধুরী

সাধ্বী ঠাকুরাণীর আশ্রমে নেকড়ে-পালিতা মেয়েরামধুশ্রী বসু

এই সংখ্যার পিডিএফ এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.