গত দেড় বছর যাবত অতিমারীর বাস্তবতায় বাঁচছি আমরা। চলে গেছেন চিরদিনের মতো বহু প্রিয় মানুষ, বন্ধু, সাথী। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। যা হতে পারত জীবনদায়ী – অর্থাৎ, ওষুধ বা ভ্যাকসিন – তা আজ বৃহৎ পুঁজির খেলাধূলার ক্ষেত্রমাত্র। বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্র-পুঁজির গাঁটছড়ার আধিপত্যকারী বাস্তবতা।
এই নয়া ‘স্বাভাবিকতন্ত্র’, নিউ নর্মাল, আমাদের বিধ্বস্ত করে। কিন্তু, একই সাথে এও মানি, এ বাস্তবতার জন্ম প্রাক-অতিমারী বাস্তবতার নিগড়েই। তাই অতিমারীর ত্রাণের মধ্য দিয়ে নতুনতর অভিব্যক্তি পায় আমাদের চিরপরিচিত শ্রেণী-অসাম্য, জাতপাত জনিত অসাম্য, লিঙ্গ-অসাম্য। এসব বাস্তবতার কিছু কিছু ছবি এই সংখ্যার আখ্যানগুলিতে এসেছে – কোথাও অতিমারীর প্রেক্ষিতে, কোথাও অন্য কোনো প্রাক্-মহামারী প্রেক্ষিতে।
এসেছে, কারণ মানুষের জটিল বেঁচে থাকার কথা বলে যে শিল্প, যে সাহিত্য, তার একেকটি আঁচড় আসলে নৈঃশব্দ্য ভাঙার প্রচেষ্টা। এবং বিদ্রোহ – মৃত্যুর বিরুদ্ধে জীবনের।
– আয়নানগর টীম
সূচিপত্র
সামাজিক দূরত্ব – নীতা মণ্ডল
সারশূন্য – জিনিয়া ব্যানার্জ্জী-অধিকারী
ড্রেসিং টেবিল – শুভদীপ্ত বিশ্বাস
হানা কেমহাফের প্রতিশোধ – সুস্মিতা সরকার (মূল গল্প: দা রিভেঞ্জ অফ হানা কেমহাফ – অ্যালিস ওয়াকার)